কথায় আছে না ভাদ্রের গরমে তাল পাকে। কিন্তু ভাদ্রমাস পার হবার পর আশ্বিনের ৩ তারিখে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন প্রায় ওষ্ঠাগত। স্বাভাবিকভাবে নগরবাসীর কাছে এই গরম নাভিশ্বাস হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আশ্বিন মাসে হঠাৎ উত্তপ্ত রাজধানী। গত দুদিনে প্রখর রৌদ্রের উত্তাপ নগরবাসীকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে লোডশেডিং।
তবে শুক্রবার দুপুরের পর আকাশে মেঘ জমতে দেখা গেলেও আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে আগামী দুদিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবদুর রহমান অসময়ে উত্তাপের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ওজন স্তর ক্ষয় হওয়ার কারণে বাড়ছে উত্তাপ। অ্যান্টার্টিকা মহাদেশের ওজন স্তরে সমান ছিদ্র দেখা দিয়েছে যা ক্রমশই বড় হচ্ছে এবং বাধাহীনভাবে সূর্যতাপ সেদিক দিয়ে এসে পড়ছে পৃথিবীতে। এর ফলে উত্তপ্ত আবহাওয়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিরাজ করছে।
তিনি জানান, এ বছর দেশে এই উত্তাপ আগামী নভেম্বর পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে অক্টোবরে মাঝামাঝি সময়ে দেশে একটি নিম্নচাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টি হলে গরম কমতে পারে। তবে বৃস্টির সম্ভাবনা কম বলে জানান এ আবহাওয়া কর্মকর্তা।
এদিকে আবহাওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।